ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় কেঁপে উঠেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ১৩২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের মাঝেও এই হামলা সংঘাত আরও জটিল করে তুলছে।
টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বুধবার রাতে রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৩২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। এর একদিন আগেই ৪৬টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছিল মস্কো।
এর মধ্যে ৪১টি ড্রোন সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলের আকাশে ধ্বংস করা হয়, বাকিগুলো ব্রিয়ানস্ক, কুরস্ক ও ওরিওল অঞ্চলে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
কিয়েভের দাবি, তাদের হামলার লক্ষ্য রাশিয়ার সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা। ইউক্রেনের মতে, মস্কোর লাগাতার বোমা হামলার পাল্টা জবাব হিসেবেই তারা এই ড্রোন হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফোনালাপের পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে তিনি শর্তসাপেক্ষে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা সাময়িকভাবে বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে এক বৈঠকে ট্রাম্পের প্রতিনিধি দল এক মাসের পূর্ণ যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা প্রস্তাব করে। কিন্তু পুতিন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হননি। তিনি বলেন,
"যদি ইউক্রেন বিদেশি সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য গ্রহণ বন্ধ করে, তবেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।"
তবে ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা ইতোমধ্যেই এই শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধে রাশিয়া সম্প্রতি কুরস্ক অঞ্চলের কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে, যা ছয় মাস আগে ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখলে চলে গিয়েছিল।